সর্বশেষ

Thursday, 12 June 2025

ভারতে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে আরোহী ছিলেন ২৪২ জন

ভারতে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে আরোহী ছিলেন ২৪২ জন


 ভারতের আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত লন্ডনগামী প্লেনে যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। প্লেনটিতে আরও ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাতজন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডীয় নাগরিক ছিলেন।

বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের প্লেনটি বৃহস্পতিবার (১২ জুন) স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছু সময় পরই মেঘানীনগরের একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এসময় এতে ২৩০ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু সদস্যসহ মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন।

Thursday, 5 June 2025

 গোপালগঞ্জ ৩৫০জন ইমাম ও মুয়াজ্জিনের মাঝে ঈদ সামগ্রী তুলে দিলেন ডিসি মুহম্মদ কামরুজ্জামান

গোপালগঞ্জ ৩৫০জন ইমাম ও মুয়াজ্জিনের মাঝে ঈদ সামগ্রী তুলে দিলেন ডিসি মুহম্মদ কামরুজ্জামান


গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল আযহা -২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে সম্মানিত ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের মাঝে ঈদ উপহার (ঈদ সামগ্রী) বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  


আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্মসচিব) মুহম্মদ কামরুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই ঈদ উপহার সম্মানিত ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের হাতে তুলে দেন।


অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম রকিবুল হাসান। 


ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ গোলাম কবির, গোপালগঞ্জ ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আবু ওবায়দা মোহাম্মদ মাস-উ-দুল হক, গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রেফাত জামিল।


এ সময় উপকারভোগী ৩৫০জন ইমাম ও মুয়াজ্জিন সহ জেলায় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৩৫০জন ইমাম ও মুয়াজ্জিনের প্রত্যেককে ১০কেজি চাল, ১কেজি ডাল, ১কেজি চিনি, ১লিটার সয়াবিন তেল, দুই প্যাকেট সেমাই ও ১প্যাকেট গুঁড়া দুধ প্রদান করা হয়। ঈদের আগে এমন উপহার পেয়ে ইমাম ও মুয়াজ্জিনগণ সন্তোষ প্রকাশ করেন। সেই সাথে উপকারভোগী ইমাম ও মুয়াজ্জিনগণ জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান,  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম রকিবুল হাসান সহ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।


জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, “ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত এসব মানুষ আমাদের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। সরকারের এই সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম রকিবুল হাসান বলেন, “এই উপহারের মাধ্যমে আমরা ইমাম- মুয়াজ্জিনদের প্রতি সম্মান জানাতে চাই। ঈদের আনন্দে সবাইকে শামিল করাই আমাদের লক্ষ্য।” 


ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন গোপালগঞ্জ ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আবু ওবায়দা মোহাম্মদ মাস-উ-দুল হক।


উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্মসচিব) মুহম্মদ কামরুজ্জামান পবিত্র ঈদুল ফিতরের ন্যায় ঈদুল আযহা উদযাপন উপলক্ষে জেলার মুকসুদপুর, কাশিয়ানী, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করে সর্বশেষ আজ সদর উপজেলায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এই মহতী উদ্যোগে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা সহ পাঁচ উপজেলার ধর্মপ্রাণ জনগণের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি করছে।

হাট লঞ্চঘাটে যাত্রীদের অপেক্ষা

হাট লঞ্চঘাটে যাত্রীদের অপেক্ষা

 

ডালিম কুমার দাস টিটু

আর একদিন পর পবিত্র ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে। ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত লক্ষীপুর মজু চৌধুরীর হাট লঞ্চঘাটে ভিড় জমিয়েছেন যাত্রীরা। মাত্র ৪ টি চি টাক এবং একটি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে বরিশাল এবং ভোলাতে। যদিও ঈদের আগে নির্দিষ্ট একটি সময় থাকে তবে ঈদের এই কয়েকদিন কোন নির্দিষ্ট সময় থাকবে না বলে জানালেন বিআইডব্লিউটিএ এর কর্মকর্তা। পারাপারের জন্য স্বল্প সংখ্যক যানবাহন তাহার থাকার কারণে  ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা যাত্রীদের । অনেকে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় থেকে তিক্ততার ভাষায় কথা বলছেন। তবে বরিশালে যাত্রী পারাপারের জন্য একটি লঞ্চের পাশাপাশি আরেকটি লঞ্চ যদি হতো তাহলে অনেক ভালো হতো যাত্রীদের ভোগান্তি কমতো এমনটাই বললেন আগত যাত্রীরা। একটি চি-টাকে অধিক যাত্রী নেয়ার বিষয়টিও দেখা গেছে এই লঞ্চঘাটে। তথ্য অনুযায়ী একটি চি-টাকে ধারণ ক্ষমতা মাত্র ২০০ যাত্রী দেখা যায় একটি চি-টাকে অন্তত মিনিমাম ৫০০ থেকে ৭০০ যাত্রী, অন্যদিকে বরিশালের জন্য যে লঞ্চটি আছে সেই লঞ্চের ধারণক্ষমতা মাত্র ৪০০ জন যাত্রী কিন্তু  সেই লঞ্চে দেখা যায় ১ হাজারের অধিক যাত্রী। আবার চি-টাক এবং লঞ্চের ছাদেও যাত্রীদের বসে থাকতে দেখা যায়। এছাড়াও অবৈধভাবে স্পিডবোর্ড এবং ট্রলার চলাচল করতেও দেখা গেলেও নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। কোস্ট  গার্ডের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হননি। পুলিশ প্রশাসনের কোন লোককে সকাল থেকে ১০ টা পর্যন্ত লঞ্চঘাটে পাওয়া যায়নি। মাত্র দুই থেকে চারজন আনসারকে দিয়ে লঞ্চঘাটের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। বৈরী 

এই আবহাওয়ার মধ্যে এভাবে ঝুঁকিতে যাত্রী পারাপার কতটুকু সঠিক  বিআই ডব্লিউ টি এর এক কর্মকর্তা আব্দুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন চুরি করে যে স্পিডবোট গুলো যায় মাঝ নদীতে কোস্টগার্ড তাদের আটক করবে। যাত্রীর বিষয়ে তিনি বলেন গরমের কারনে যাত্রীরা ভিতরে না বসে  ছাদে উঠে বসতে চায়। আমাদের করার কিছু নেই। যাত্রীরা বলেন, ঈদ উপলক্ষে  দুইটি লঞ্চ হলে সবচেয়ে ভালো হতো আমাদেরকে অপেক্ষার প্রহর গুনতে হতো না। অনেকে বলেন দূর থেকে এসেছি প্রায় চার পাঁচ ঘন্টা অপেক্ষা করছি লঞ্চ আসতে আরো এক ঘন্টা দেরি হবে আমরা আমাদের বাড়িতে পৌঁছতে প্রায় ১৫ ঘণ্টা সময় লেগে যাবে। স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার, কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় অসচেতনতার কারণে অধিক যাত্রী বোঝাইয়ের চি-টাক টি কোন দুর্ঘটনার শিকার হলে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। তাই অনিয়মকে এড়িয়ে নিয়মের মধ্যে যাত্রী পারাপার করে স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি যাওয়া আত্মীয় স্বজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সবাইকে সচেতন হতে হবে এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টতা।